বৃহস্পতিবার , ১৮ মে ২০২৩ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

নোয়াখালীতে সেনাসদস্য আলতাফের দাফন সম্পন্ন, শোকে মুহ্যমান স্বজনেরা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মে ১৮, ২০২৩ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সেনাসদস্য আলতাফ হোসেনকে (২৪) জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

আজ জানাজার সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে আত্মীয়স্বজন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীসহ নানা শ্রেণি–পেশার শত শত মানুষ তাঁর জানাজায় অংশ নেন। তবে জানাজার আগে বাড়ি থেকে যখন আলতাফের লাশ নিয়ে আসা হচ্ছিল, তখন তাঁর মা শাহীনুর আক্তার ও একমাত্র ছোট বোন সানজিদা সুলতানাসহ স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শাহীনুর আহাজারি করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছিলেন বারবার। প্রতিবেশী ও স্বজনদের কারও সান্ত্বনাই তাঁকে শান্ত করতে পারছিল না।

ছোট বোন সানজিদা বারবার বলছিলেন, ‘কে আমাকে ফোন করে প্রতিদিন খবর নেবে। আমার ভাইয়া তো আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। ওই ভাই, তুমি কেন এত তাড়াতাড়ি আমাদের এভাবে একা করে চলে গেলে। আমাদের কে দেখবে। কে আমাদের খোঁজখবর নেবে। আমরা কীভাবে আমার ভাইকে ছাড়া থাকব। ও ভাই, ভাই রে তুই কেন আমাদের ছেড়ে চলে গেলি রে।’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাষ্টীয় মর্যাদায় সেনাসদস্য আলতাফকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে আগত ক্যাপ্টেন সাদিকের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল নিহত আলতাফকে গার্ড অব অনার ও রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।

নিহত সেনাসদস্য মাসুমের জানাজার নামাজের আগে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং নিহতের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন, কুমিল্লা সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন সাদিক, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম সিদ্দিকী, কাদিরহানিফ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী প্রমুখ।

আলতাফের মামা জহির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৭ সালে আলতাফের বাবা আবুল কাশেম মারা যান। তিনি মাইজদীকোর্ট স্টেশন এলাকায় ডেকোরেটরের ব্যবসা করতেন। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন আলতাফ। মা ও একমাত্র ছোট বোন সানজিদা সুলতানাকে নিয়ে সুখের সংসার সাজানোর প্রত্যাশা ছিল তাঁর। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় গোটা পরিবারে অন্ধকার নেমে এসেছে।

পরিবারের লোকজন জানান, সর্বশেষ রমজানের ঈদের কয়েক দিন আগে ১৫ দিনের ছুটিতে বাড়ি আসেন আলতাফ। ছুটি শেষ হওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে গত ২৬ এপ্রিল চাকরিতে যোগদানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরে যান তিনি। মা ও বোনের সঙ্গে প্রায়ই কথা হতো তাঁর। তিন দিন আগে শেষবারের মতো মায়ের সঙ্গে কথা হয় আলতাফের। গত মঙ্গলবার দুপুরে রুমায় সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) হামলায় আলতাফসহ সেনাবাহিনীর দুই সদস্য নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও দুই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে