বৃহস্পতিবার , ১৮ মে ২০২৩ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে রেজিস্ট্রার গঠনের উদ্যোগ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মে ১৮, ২০২৩ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির মাশুল রাশিয়াকে দিতে হবে, এমন ভাবনা নিয়ে ‘কাউন্সিল অব ইউরোপ’ একটি রেজিস্ট্রার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিদেশে রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে পারেনি কাউন্সিল অব ইউরোপ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের দেশগুলো সবার আগে যে জোট গঠন করেছিল, তার নাম ছিল ‘কাউন্সিল অব ইউরোপ’। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তখনো স্বপ্নের পর্যায়েও ছিল না। সেই পরিষদের সদস্যসংখ্যা এখন ৪৬। ইউক্রেনের ওপর হামলার কারণে রাশিয়াকে বহিষ্কার করা হয় কাউন্সিল অব ইউরোপ থেকে। বেলারুশের সদস্যপদ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

এ নিয়ে চারবার কাউন্সিল অব ইউরোপের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ বছর পর আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিকে (১৬–১৭ মে) শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি ও তথ্যপ্রমাণ নথিভুক্ত করতে একটি ‘রেজিস্ট্রার অব ড্যামেজ’ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার হামলার শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো নথিভুক্ত করে ভবিষ্যতে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে সেই তালিকা কাজে লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের এক প্রস্তাবের ভিত্তিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কাউন্সিল অব ইউরোপের মহাসচিব মারিয়া পেইসিনোভিচ এই রেজিস্ট্রার গঠনের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

৪৬ সদস্যের মধ্যে ৪০টি দেশ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। শুধু আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বসনিয়া-হারজেগোভিনা, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি ও তুরস্ক আপাতত সেই উদ্যোগে শামিল হচ্ছে না। কাউন্সিল অব ইউরোপের এই উদ্যোগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণও নিশ্চিত হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আপাতত তিন বছরের জন্য ‘ড্যামেজ রেজিস্ট্রি’ দপ্তর কাজ করবে। ইউক্রেনেও একটি ‘ফিল্ড অফিস’ খোলা হবে। এই মুহূর্তে শুধু ক্ষয়ক্ষতি নথিভুক্ত করা হলেও ভবিষ্যতে সেই কাঠামোর ক্ষমতা বাড়িয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বৈঠকে একটি কমিশন ও তহবিল গঠন করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। যদিও সেগুলোর কাঠামো এখনো অস্পষ্ট।

রাশিয়া স্বেচ্ছায় ক্ষতিপূরণ না দিলে বিদেশে থাকা দেশটির সম্পদ কাজে লাগিয়ে অর্থ সংগ্রহের একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইনি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এই রেজিস্ট্রার গঠনের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, নৃশংস কার্যকলাপের জন্য রাশিয়াকে দায়বদ্ধ করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রয়োজনীয় অবদান। তিনি কাউন্সিল অব ইউরোপের অর্থায়নের জন্য জার্মানির নিয়মিত মাশুলের পাশাপাশি এককালীন এক কোটি ইউরো দিচ্ছেন। ইউরোপে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অভিভাবক হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের হাত আরও শক্ত করার অঙ্গীকার করেন জার্মান চ্যান্সেলর।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন ভবিষ্যতে ‘কাউন্সিল অব ইউরোপ’ এবং ইইউতে যোগদানে আগ্রহীদের মধ্যে আরও নিবিড় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে

আপনার জন্য নির্বাচিত