আজ (২ জুন) মেঠোপথ থিয়েটারের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় আয়োজন করা হয়েছে মেঠোপথ থিয়েটারের চতুর্থ প্রযোজনা ‘মলুয়া’ নাটকের ৮ম প্রর্দশনী।
২০১৭ সালের ২ জুন দলটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে মঞ্চে এনেছে ৪টি প্রযোজনা। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশের বাহিরে এ নাটকগুলোর একাধিক প্রদর্শনী অুনষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মেঠোপথ থিয়েটারের দল প্রধান শামীমা আক্তার মুক্তা বলেন, সুস্থ শিল্প চর্চার মধ্য দিয়ে থিয়েটার করার মনো বাসনা নিয়েই ‘মেঠোপথ থিয়েটার’ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। রাজনৈতিক কুটিলতাকে দূরে রেখে থিয়েটারকে ধারণ করতে চাই, তাই আমাদের এই পথ চলা। সাংগঠনিক জটিলতায় না জড়িয়ে কাজকে বেগবান করাই আমদের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, মেঠোপথ থিয়েটার বাংলাদেশের একটি নাটকের দল। ২০১৭ সালের ২ জুন তারিখে আমরা কয়জন তরুণ-তরুণী মিলে এ দলের প্রতিষ্ঠা করি। ‘অতঃপর মাধো’নাটকের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় মেঠোপথ থিয়েটারের। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ‘অলোক বসু’। এরই মধ্যে আমরা কোরিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন নাট্য উৎসবে এর প্রদর্শনী করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি মেঠোপথ থিয়েটার (বাংলাদেশ) ও সহজ পাঠ থিয়েটার (ভারত) ভারত বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনা ‘জলকুমারী’ এর সফল প্রদর্শনী করেছে। নাটকটি রচনা এবং নির্দেশনায় আছেন বাংলাদেশের নির্দেশক ‘দেবাশীষ ঘোষ’। এরপর ২ আগস্ট ২০১৯ সালে মেঠোপথ থিয়েটার নিয়ে আসে তৃতীয় প্রযোজনা একক অভিনীত নাটক ‘পুতুলটিকে দেখে রেখো’। এর রচনায় আছেন
‘আনিসুর রহমান’।
আমাদের এবারের নতুন প্রয়াস ও চতুর্থ প্রযোজনা ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে ‘মলুয়া’। নাটকটি রচনা করেছেন ‘মু.আনোয়ার হোসেন রনি এবং নির্দেশনা দিয়েছেন ‘জয়িতা মহলানবীশ’। নাটকটিতে দেখা যায়, সুত্যা নদীর তীরে চান্দ বিনোদের বসবাস। অল্পকিছু ধন-সম্পদ, জমি নিয়ে মায়ের সঙ্গে ভালোই ছিল সে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা অভাবে পড়ে। টাকা রোজগার করতে বিনোদ কোড়া পাখি শিকারে রওনা হয় শিকারে যাওয়ার পথে আরিয়াল গ্রামে তার দেখা হয় ধনবান হীরাধরের কন্যা সুন্দরী মলুয়ার সঙ্গে।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন শামীমা আক্তার মুক্তা, জয়িতা মহলানবীশ, রবিন বসাক, শামছুন নাহার বিউটি, পি.কে.ফজল, নাইরুজ সিফাত, নাইরুজ সুবাহ তিথি, মো. হাসিব, সুজ্জামান আলী জামান।
সংগীত পরিকল্পনা করেছেন শিশির রহমান ও তাওহিদুল আলম প্রতিক, কণ্ঠ দিয়েছেন হামিদুল হিল্লোল, সুব্রত মন্ডল, কোরিওগ্রাফি করেছেন ফেরদৌস হাসান, রবিন বসাক, মঞ্চ পরিকল্পনা ও লোগো করেছেন মো. মুজিবুল হক, প্রপস্ করেছন হৃদয় বড়ুয়া, আলোক পরিকল্পনা করেছেন মো. মোখলেছুর রহমান পোশাক পরিকল্পনা করেছেন শামীমা আক্তার মুক্তা ।