২০২১ সালে ঢাকার পল্টন থানায় করা পৃথক দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ (ডিলিট) দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
পরে হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, আদালত এ আবেদন শুনানির সময় বলেছেন ইউ আর নট ইনক্লোয়েন্ট (আমরা এ আবেদন শুনতে অনিচ্ছুক)।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মেদ ভূইয়া বলেন, আদালত মামুনুল হকের আবেদন শুনেননি, তবে চাইলে তিনি অন্য কোর্টে জামিন আবেদন করতে পারবেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না। তার আগে ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্নাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্নাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর পল্টন থানায় ২০২১ সালের এপ্রিলে দুটি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে আরও বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।