সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেছেন, সাক্ষীর জন্য মামলা অনেক পিছিয়ে যায়। বাটোয়ারা মামলা তো শেষ হয় না। দেখা যায় এক পরিবারে চার ছেলে, তাদের দুজন দেশের বাইরে। সেই সাক্ষীর জন্য কিন্তু বছরের পর বছর বসে থাকতে হচ্ছে। কবে সাক্ষী আসবে। এসব ক্ষেত্রে জজ বা আইনজীবীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।
সিরাজগঞ্জ বিচার বিভাগের আয়োজনে শহীদ সোহেল আহম্মেদ জগন্নাথ পাড়ে স্মৃতি সম্মেলনকক্ষে শুক্রবার এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ছোট ছোট ট্রাইব্যুনাল আছে সেগুলোতে না গিয়ে যদি হাইকোর্টে চলে আসে তাহলে দেখা যায় হাইকোর্টেই চলে যায় ৮-১০ বছর। হাইকোর্ট মামলার শুনানি নিয়ে রুল দিলে সেটির শুনানি হতেও পাঁচ-ছয় বছর লেগে যায়।
সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি পরিসংখ্যানে সন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, এখানে কোনো মামলা ৫১৪ শতাংশেরও বেশি, আবার কোথাও ২৮, ৮২ ও ১২৫ শতাংশ নিষ্পত্তি হয়েছে। মামলা জট মামলা জট বলা হলেও সিরাজগঞ্জের পরিসংখ্যান বেশ ভালো।
‘আদালতে বিচারাধীন মামলা বিশেষত পুরাতন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাসমূহ অগ্রাধিকারভিত্তিক দ্রুত নিষ্পত্তি আইনি সহায়তা’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির সভাপতিত্ব করেন।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ মো. নাসিরুল হক, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সালমা খাতুন, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালত মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ্, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালত মো. আবুল বাশার, অতিরিক্ত জেলা জজ ও দায়রা জজ-৩ আদালত কানিজ ফাতেমা ও জাজ ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) মো. আহসান হাবিব প্রমুখ।
এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার। ন্যায়কুঞ্জে বিচারপ্রত্যাশী নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক ইউনিট থাকবে। এছাড়া ব্রেস্ট ফিডিংয়ের জন্য মায়েদের আলাদা কক্ষ, প্রত্যেক ইউনিটে দুটি করে টয়লেট, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও একটি স্টেশনারি দোকান থাকবে।