সোমবার , ১২ জুন ২০২৩ | ১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

জাহাঙ্গীরনগরে তরুণীর ছবিসহ ব্যানার ঝোলানো ব্যক্তিকে খুঁজছে প্রশাসন

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুন ১২, ২০২৩ ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পাশে এক তরুণীর ছবিসহ ঝোলানো একটি ব্যানার নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ব্যানারের ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এর পক্ষে-বিপক্ষে মত দিতে দেখা গেছে অনেককেই।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তরুণীর ছবিসহ ব্যানারটি যে লাগিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে খুঁজে বের করা হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল রোববার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে দুটি মেহগনিগাছের মাঝে ঝুলছে ব্যানারটি। অনেকেই ব্যানারটির ছবি তুলছিলেন। ব্যানারটিতে লেখা ‘সরি নিঝুম’, এর পাশে একটি ‘লাভ ইমোজি’। ঠিক তার পাশে একটি মেয়ের ছবি। ব্যানারের ছবিটি কার, সেটি জানা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আত্তাবুজ্জামান ফরহাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন রুচির দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এই ব্যানার দিয়ে কখনো ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে না; বরং এই ব্যানারে প্রতীয়মান হয় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যার যা মন চায়, তা–ই করা যায়। ব্যক্তিগত জীবনকে জনপরিসরে আনার একটি প্রবণতা আমাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে।’

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার বলেন, আজ একজন এমন ব্যানার ঝুলিয়েছে। কাল যদি অন্যরা এমন ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়, তাহলে ব্যাপারটি কেমন হবে? তাই শিক্ষার্থীরা কোন সংস্কৃতি গ্রহণ এবং প্রচার করছে, সে বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।

মনিরুজ্জামান মনির নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ ধরনের ব্যানারে খারাপ কিছু দেখি না। প্রেমিক তার ভালোবাসার মানুষের অভিমান ভাঙাতে অনেক কিছুই করে। বিশ্ববিদ্যালয় একটা সর্বজনীন জায়গা। এখানে যে যেভাবে পারে একটা উদাহরণ তৈরি করতে পারে। এখানে সমালোচনার কিছু নেই।’

তরুণীর ছবিসহ ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া ‘আদর্শ আচরণ’ নয় বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উপপরিচালক (মনোবিজ্ঞান) ইফরাত জাহান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভিন্ন সিনেমা, নাটকে আমরা দেখি, প্রেমিক তার প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে এ ধরনের আচরণ করে থাকেন। আমার মনে হয়, এ কাজ যিনি করেছেন, তিনি কোথাও দেখে এটি করেছেন। এ ধরনের আচরণ হতাশা থেকেও হতে পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ঘটনাটির কথা আমি জানি না। তবে যে করেছে, নিঃসন্দেহে একটা বাজে কাজ করেছে। এটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। ব্যানারে মেয়ের ছবি দেওয়া মোটেও কাম্য নয়। আমি ব্যানারটি খুলে ফেলার ব্যবস্থা করব। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে যে লাগিয়েছে, তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। ব্যানারে যে মেয়ের ছবি দেওয়া আছে, সে অভিযোগ না দিলেও আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব এবং তার কাছে এটার ব্যাখ্যা চাইব। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

সর্বশেষ - আইন-আদালত