বরিশালের বানারীপাড়ায় কেয়ারটেকারকে জিম্মি করে বখাটে দুই বন্ধু মিলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। একদিন পর ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ভিকটিমকে বরিশাল শেবামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের মো. জলিল বেপারীর ছেলে মো. সোহাগ বেপারী (২৩) এবং একই এলাকার তার বন্ধু মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লার ছেলে মো. মেহেদী মোল্লা (২৬) ও স্থানীয় প্রবাসী মো. শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবি।
এ ব্যাপারে থানার ওসি এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, রোববার রাতে রুবিনা আক্তার ছবির সহায়তায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে এনে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. জাকির হোসেনর একটি ভবনে নিয়ে যায় সোহাগ বেপারী ও মেহেদী মোল্লা। জাকির হোসেনের পরিবার বাড়িতে না থাকায় সেখানে তার কেয়ারটেকার মো. ইয়াছিন হাওলাদারকে জিম্মি করে দুই বন্ধু ওই স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তারের সহায়তায় ওই ছাত্রীকে তার পিত্রালয়ে পৌঁছে দেয়।
ওসি এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী এ মামলাটি নিজেই তদন্ত শুরু করেন। তিনি বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।