শুক্রবার , ২৩ জুন ২০২৩ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

চনপাড়ায় আবার গুলি, দুই যুবক আহত

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুন ২৩, ২০২৩ ৩:১৮ অপরাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে আবারও গুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বেলা দুইটায় পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৬ নম্বর গলির অফিস ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকেই চনপাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন চনপাড়ার ৪ নম্বর গলির মৃত বাদল মিয়ার ছেলে বাবলু মিয়া (২০) ও ৬ নম্বর গলির আজহার মোল্লার ছেলে মো. মাসুম (২২)। আহত দুজন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের অনুসারী। চনপাড়া ওই ওয়ার্ডের অন্তর্গত এলাকা। ভুক্তভোগীদের দাবি, তাঁদের গুলি করেছেন নির্বাচনে বিজয়ী ইউপি সদস্য শমসের আলীর অনুসারী ৪ নম্বর গলির বাসিন্দা মো. রায়হান।

চনপাড়ায় আবারও গোলাগুলি, এক পথচারী গুলিবিদ্ধ

সংঘর্ষ শুরুর পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে চলে যান চলপাড়ার ব্যবসায়ীরা। বুধবার দুপুরে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ছয় নম্বর গলি বাজারে

বাবলু ও মাসুমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, মাসুমের কোমর ও বাবলুর পায়ে গুলি লেগেছে। তাঁরা চিকিৎসাধীন।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আজ বেলা দুইটার দিকে বাবলু, মাসুমসহ চার বন্ধু চনপাড়ার অফিস ঘাট এলাকায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় রায়হান ১০–১৩ জন অনুসারী নিয়ে সেখানে আসেন। তাঁরা বাবলু ও মাসুমকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। প্রথম আলোকে বাবলু বলেন, ‘আমরা তখন চলে যাচ্ছিলাম। এ সময় রায়হানের বোনের ছেলে সাব্বির আমাকে পেছন থেকে আঘাত করে। ভয়ে আমরা তখন চারজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। এ সময় রায়হান আমাদের উদ্দেশ্য করে গুলি করে।’

ফিরছে আরেকটি অপরাধী চক্র

ফিরছে আরেকটি অপরাধী চক্র

গুলির কারণ জানতে চাইলে বাবলু বলেন, ‘গত নির্বাচনে (কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড উপনির্বাচন) আমরা জয়নাল ভাইয়ের (জয়নাল আবেদীন) সঙ্গে কাজ করেছি। রায়হান ছিল শমসের আলীর অনুসারী। নির্বাচনের আগেই তারা হুমকি দিচ্ছিল যে তাঁরা জিততে পারলে আমাদের এলাকায় থাকতে দেবে না। নির্বাচনের বিরোধ নিয়েই আমাদের গুলি করেছে।’

জয়নাল আবেদীনও গুলিবিদ্ধ মাসুম ও বাবলুকে নিজের অনুসারী হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার লোক বলেই তাঁদের গুলি করা হয়েছে।’ ঘটনার দুজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে জানান, রায়হান ও তাঁর সহযোগীরা কোনো কথা না বলেই চার তরুণের পায়ে গুলি করেন। এর আগে সকালে রায়হান তাঁর সহযোগীদের নিয়ে শমসের আলীর বিজয় মিছিলে অংশ নেন। এ বিষয়ে রায়হানের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

রূপগঞ্জ থানা–পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রায়হান এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর ওরফে পরশ হত্যাকাণ্ডের পর ওই ঘটনায় রায়হানের নাম এলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। পরে অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কিছুদিন আগে রায়হান জামিনে বের হয়ে এলাকায় ফিরে আসেন। রায়হানের মাদক বেচাকেনার স্পটগুলো পুলিশ গুঁড়িয়ে দিলে তিনি শমসের আলীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন।

পুলিশের ওই সূত্র আরও জানায়, নির্বাচনের আগে জয়নাল ও শমসের আলীর অনুসারীদের মধ্যে হওয়া তিনটি বড় সংঘর্ষে রায়হান শমসের আলীর পক্ষে অংশ নেন। নির্বাচনের আগে চনপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান শুরু হলে রায়হান এলাকা ছেড়ে চলে যান। নির্বাচনের আগে আবার এলাকায় ফিরে শমসের আলীর পক্ষে নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেন। নির্বাচনে শমসের ইউপি সদস্য হিসেবে জয়ী হওয়ার পর থেকেই রায়হান আবার চনপাড়ায় থাকতে শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শমসের আলীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে মোক্তার হোসেন নামের তাঁর এক অনুসারী ফোন ধরে বলেন, ‘মেম্বার সাহেব ব্যস্ত আছেন, যা বলার আমাকে বলেন।’ এ সময় তাঁর কাছে রায়হানের বিজয় মিছিলে অংশ নেওয়া ও নির্বাচনে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর অনুসারীদের গুলি করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মোক্তার হোসেন বলেন, ‘গুলির বিষয়টি জানি না। আমরা বিজয় মিছিল আয়োজন করেছি। সেখানে এতে মানুষের ভিড়ে রায়হান ছিল কি না, তা জানা নেই।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। রায়হান চনপাড়া এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে চনপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল এবং ৯ ও ১০ মে শমসের আলী ও জয়নাল আবেদীনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ৩৫ জন আহত এবং চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। লুট হয়েছে সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি সংঘর্ষেই আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এসব সংঘর্ষের জেরে ১ ও ১০ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ চনপাড়য় বড় দুটি অভিযান চালায়। অভিযানে অন্তত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার এবং মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের স্কোয়াডে আছেন তাসকিন, বাদ পড়লেন সাইফুদ্দিন

শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

১০ মাসে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩১ শতাংশ

আফগানদের কাছে নাকাল হয়ে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বেকায়দায় বিজেপিবিরোধী জোট

জ্বালানি তেলের উত্তাপ সবজির বাজারে

৩৫ টাকা দরে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু সোমবার

৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সীতাকুণ্ডের আগুন

‘সোহরাওয়ার্দীতে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারে বিএনপি, কিন্তু তাদের গন্ডগোলের উদ্দেশ্য’

জাতীয় পার্টিতে যোগ দিল বিএনপির ৫ শতাধিক নেতাকর্মী