বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগে এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লা লাকসাম উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার বিকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, গত ২১ জুন ছাত্রদল ও যুবদলের সন্ত্রাসীরা লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইফতেখার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম সৌরভ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীর হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে মারাত্মকভাবে আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের প্রথমে লাকসাম এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ইফতেখার অনিকের অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে অনিককে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। বাকি দুজন কুমিল্লা মেডিকেলে রয়েছেন। এই হামলাকারীদেরকে রক্ষা করা এবং ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাতসহ অন্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস ভূঁইয়া আরও বলেন, মির্জা ফখরুলের মতো একজন দায়িত্বশীল নেতা কীভাবে বিষয়টি নিয়ে মিথ্যাচার করতে পারেন। তিনি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন- ‘লাকসাম পৌর শহরে বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামের বাড়িতে আমাদের লোকজন হামলা করেছে। তার বাড়ির রাস্তা নাকি কেটে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি সাংবাদিকরা গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখুন- লাকসামের তথাকথিত ওই বাড়িতে বিএনপি নেতা কালাম একদিনও বসবাস করেছেন কিনা? আর যেই রাস্তার কথা বলা হয়েছে সেই রাস্তা দিয়ে আমি একটু আগেও গাড়ি নিয়ে এসেছি। এছাড়া মির্জা ফখরুল আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট হামলা চালানোসহ অসংখ্য মিথ্যাচার করেছেন। তার এমন মিথ্যাচারে লাকসামের মানুষ অবাক হয়েছে।
ইউনুস ভূঁইয়া আরও বলেন, এভাবে ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা দেখে আমরা বুঝতে পারছি- মির্জা ফখরুলরা মনে করছেন আমাদের ছাত্রলীগ নেতা অনিক আর বেঁচে ফিরবেন না। সেই হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে এখন তারা মিথ্যাচারের উৎসবে মেতে উঠেছেন। বিএনপি এখন মিথ্যাচারের দলে পরিণত হয়েছে। আমরা এ ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আর দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে লাকসাম উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. তাবারক উল্লাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম হিরা, উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক ও পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া সুমন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী মো. কামাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন সানি, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তুষার, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন, সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলম, লাকসাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান তানিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।