পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে বেড়ে চলেছে নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি। ফলে জেলার সীমান্ত এলাকার নদী গুলোতে বাড়ছে পানি। যদিও এবছর বর্ষার পানি আসতে প্রায় তিন মাসের মতো বিলম্ব বলছেন স্থানীয়রা। তারপরও এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে কলমাকন্দার গণেশ্বরী ও দুর্গাপুরের সোমেম্বরীর শাখা নদী কলমাকান্দার উব্দাখালি নদীতে শুক্রবার রাত থেকে পানি বিপদসীমার ২ থেকে এবং সকালে ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও উপজেলার মহাদেও, বৈঠাখালী, মঙ্গলেশ্বরী নদীর পানি বেড়েছে। মূলত নদীগুলোতে ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় অল্পতেই পানি উপচে পড়ে। এদিকে আষাঢ়ে পুরো হাওরাঞ্চলগুলো পানিতে থৈ থৈ করার কথা থাকলেও নদীগুলো দিয়ে সেভাবে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। ফলে নদীর তীরবর্তী আশপাশ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৭ ঘণ্টায় উব্দাখালী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ওই নদীর ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও উপজেলার ও গণেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তীরবর্তী এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখানো কোন বসতবাড়িতে পানি ঢুকেনি। গ্রামীণ দু’কয়েকটি কাঁচা সড়ক ছাড়া এখানো কোন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যেকটি ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান জানান, পাহাড়ি ঢল আর বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু জেলায় বন্যা হবার আশঙ্কা এখনো নেই। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত থাকলেও পানিগুলো হাওরের দিকে যাচ্ছে।