অবশেষে সেই মুহূর্ত আসছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় পা রাখছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেখানে বেশ কিছু কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। কলকাতায় পা রাখার আগে বাংলাদেশে প্রায় ১১ ঘণ্টার সফর করছেন মার্টিনেজ।
তবে ঢাকায় অবস্থান করলেও সংক্ষিপ্ত এই সফরে তিনি বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের কোনো উন্মাদনাই দেখতে পাচ্ছেন না। কারণ, তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো অনুষ্ঠানই রাখা হয়নি সফরসূচিতে।
যে কারণে কিছুটা মন খারাপ আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষকের। তবে তিনি কথা দিয়েছেন যে, আবারও বাংলাদেশে আসবেন পুরো আর্জেন্টিনা দলকে সঙ্গে নিয়ে এবং বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে ফুটবল ম্যাচও খেলতে চান।
ঢাকায় সফর শেষে সোমবার (৩ জুলাই) ফুটবলের তীর্থস্থান কলকাতায় রাতে পা রাখবেন মার্টিনেজ। সোমবার কলকাতায় তার কোথাও যাওয়ার কোনো কর্মসূচি নেই। দীর্ঘ ধকলের পর কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেলে বিশ্রাম নেবেন তিনি। পরের দিন মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে তার ব্যস্ততা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার স্পন্সরদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তার। এরপর নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। সেদিন বিকেলে কলকাতার মোহনবাগান মাঠে যাওয়ার কথা তার। মার্টিনেজের হাতে মোহনবাগান ক্লাব তুলে দেবে সোনার রত্ন স্মারক। তারপর ক্লাবের পেলে, ম্যারাডোনা, গ্যারি সোবার্স গেটের সূচনা করবেন তিনি। তাকে ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এরপর মোহনবাগান মাঠে একটি ফ্রেন্ডশিপ কাপের ম্যাচ রয়েছে। সেই ম্যাচ গ্যালারিতে বসেই দেখবেন বিশ্বকাপ জয়ী এই গোলরক্ষক।
মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশীষ দত্ত সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তাকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে। এরপর কিছু নির্বাচিত ক্লাব কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করবেন মার্টিনেজ। সেই অনুষ্ঠানে মোহনবাগান ক্লাবের ১০ জনকে আজীবন সদস্যপদ তুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, মার্টিনেজ নিজেই বাংলাদেশের পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ খেতে চেয়েছেন। তাই তার জন্য দুপুরের খাবারে পদ্মার ইলিশের রকমারি রেসিপি তৈরি করা হবে। আগামী বুধবারও মার্টিনেজের দিন কাটবে ব্যস্ততার মধ্যেই। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ক্লাবের জুনিয়র এবং সাব-জুনিয়ার পর্যায়ে গোলরক্ষকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার কথা আছে তার। বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষককে একবার চোখে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা। সেখানে তিনি ৫ জুলাই পর্যন্ত অবস্থান করবেন।