শনিবার , ৮ জুলাই ২০২৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

বরকত উল্লাহ বুলু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিদায় ঘণ্টা বাজবে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুলাই ৮, ২০২৩ ৩:৫৬ অপরাহ্ণ

চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শেখ হাসিনাকে হটাতে হলে সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে। এখন বাংলাদেশের মানুষের একটাই দাবি যে শেখ হাসিনা কখন গদি ছাড়বেন। আজ বিদেশি গণতান্ত্রিক দেশগুলো একটি কথায় বলছে, বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। বাংলাদেশে সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। একে সরাতে হবে।

শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ১৬ জুলাই আয়োজিত মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের প্রস্ততি সভায় প্রধান এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে ৩৬টি রাজনৈতিক দল একসঙ্গে সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সে ঘোষণা আসার পর আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় করবো। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আগে সর্বোচ্চ সাজা সব মামলা মিলিয়ে ২০ বছর বা ৩০ বছর খাটলে চলে যেতো। কিন্তু শেখ হাসিনা একটা আইন করেছেন। আপনার যদি ৫০ বা ১০০টি মামলা থাকে, সব মামলার একটি একটি করে পাঁচ বছর বা ১০ বছর সাজা আপনাকে খাটতে হবে। আমরা হিসাব করে দেখেছি, শেখ হাসিনাকে যদি বিদায় দিতে না পারি তাহলে আমাদের কারও এক হাজার বছর, কারও দেড় হাজার বছর সাজা খাটতে হবে। সারাদেশে ৪০ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় টিকে যান তাহলে আমাদের সবার পরিবারকে জেলখানা থেকে আমাদের মরদেহ নিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, চলমান রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিক, মজুর, কৃষক, অসহায় শ্রমজীবী মানুষ অংশগ্রহণ করেনি ততক্ষণ পর্যন্ত অতীতে কোনো আন্দোলনই সফলতার মুখ দেখেনি। শ্রমিক জনতা রাস্তায় নামলেই শাসকেরা মাথা নত করে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে গোটা জাতিকে খণ্ড বিখণ্ড করেছে। দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য হচ্ছে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তারা দেশে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপনকে নির্বিঘ্ন রাখতেই ক্ষমতার আড়ালে মহাদুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। চিরস্থায়ী ক্ষমতার বলয় তৈরির অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইদ্রিছ মিয়া, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি তাহের আহমেদ, উত্তর জেলার সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, কক্সবাজার জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন, মহিলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, রাঙ্গামাটি শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম, রেলওয়ে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এম আর মন্জুর, বিভাগীয় শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক গাজী আইয়ুব আলী, মো. হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মজুমদার, রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ - আইন-আদালত