কম্বোডিয়ার জাতীয় নির্বাচনে আজ রোববার ভোট গ্রহণ চলছে। একতরফার এই নির্বাচনে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) সহজ জয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটিতে আজ যে নির্বাচন হচ্ছে, তাকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক বলছেন সমালোচকেরা। এমন সমালোচনার অন্যতম কারণ হলো, দেশটির প্রধান বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে এই নির্বাচন করা হচ্ছে।
কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা সোখার ২৭ বছর কারাদণ্ড
স্থানীয় সময় আজ সকাল সাতটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, আজকের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৭ লাখ।
কম্বোডিয়ার দীর্ঘদিনের ক্ষমতাসীন সিপিপির পাশাপাশি ১৭টি ছোট দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে সিপিপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো সক্ষমতা এই ১৭ দলের কোনোটিরই নেই।
নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দল সিপিপি কম্বোডিয়ার জাতীয় পরিষদের ১২৫ আসনের সব কটিই আবার পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ার দুই শাসকের কেন ‘গলায়–গলায় দোস্তি’
কম্বোডিয়ায় সিপিপির প্রধান প্রতিপক্ষ ক্যান্ডেললাইট পার্টি। দেশটির একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য এই বিরোধী দল আজকের নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কারণ, নিবন্ধনসংক্রান্ত ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে গত মে মাসে এই দলকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণার সিদ্ধান্তটি ব্যাপক সমালোচনা কুড়ায়। সমালোচকেরা বলছেন, কম্বোডিয়ায় গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের পরিসর সংকুচিত করার ক্ষেত্রে হুন সেনের আরেকটি পদক্ষেপের উদাহরণ এটি।
কম্বোডিয়ায় রাজনীতিবিদদের দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা বাতিল
আজ ভোট শুরুর অল্প সময়ের মাথায় কম্বোডিয়ায় রাজধানীর দক্ষিণের একটি কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ও তাঁর স্ত্রী।
এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ‘নির্বাচিত’ শাসক হুন সেন। তিনি গত ৩৮ বছরে কম্বোডিয়ায় তাঁর ক্ষমতা সুসংহত করেছেন। আজকের নির্বাচনে সিপিপির জয় ছেলে হুন মানেটের হাতে হুন সেনের দায়িত্ব হস্তান্তরের পথ প্রশস্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হুন মানেট এখন কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে আছেন।