সিসিকের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান জেলে যাওয়ার পর এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী নবনির্বাচিত কাউন্সিলর জামায়াত অনুসারী সাঈদ মো. আবদুল্লাহও এখন শ্রীঘরে। এর আগে গত সোমবার নির্বাচনকালে অস্ত্রের মহড়ার মামলায় কাউন্সিলর আফতাবের জামিন বাতিল করেন আদালত।
মঙ্গলবার সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক একিউএম নাসির উদ্দিন সাঈদ আব্দুল্লাহকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন।
কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন খানের আইনজীবী মো. আব্দুর রহমান আফজাল জানান, দ্রুতবিচার আইনের মামলায় সাঈদ আহমদসহ ১১ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আদেশ মোতাবেক আসামিরা সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
সাঈদ আব্দুল্লাহ ছাড়াও একই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে ছবের মিয়া, আকলিছ মিয়া, এমাদ উদ্দিন সুয়েব, আমিন মিয়া, আল-আমিন, কাজী মিজান, মো. মোবারক হোসাইন, জীবন, ফরিদ মিয়া ও রাজন আহমদকে।
এর আগে গত ১১ জুন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে মামলা করেন। মামলায় ৭নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আব্দুল্লাহসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- নগরীর বনকলাপাড়া এলাকার সাঈদ মো. আব্দুল্লাহ (৩৬), কাজী মিজান (২৯), শাহীন (৩০) রাজন আহমদ, ছবের মিয়া (৩৪), এমাদ উদ্দিন সুয়েব (৩৩), মতিউর রহমান মৃধা (৪২), আমিন মিয়া (৩২), আল আমিন (২৮), পশ্চিম পীর মহল্লার আবুল কালাম মাস্টার (৪৫), জুনেদ আহমদ (৩৫) ও অগ্রণী আ/এ এলাকার সোহাগ মিয়া (২৬)।
গত ৬ জুন সাঈদ মো. আব্দুল্লাহর বাসার সামনে ৭-৮টি মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকজন যুবক মহড়া দেয়। তাদের সঙ্গে ছিলেন আফতাব হোসেন খানও। এ ঘটনায় নগরীর বিমানবন্দর থানায় আফতাব হোসেন খানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন সাঈদ আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আফতাবের প্রার্থিতাও বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে আফতাব হোসেন ছাড়াও এ মামলায় এখন পর্যন্ত আরও দুইজন গ্রেফতার হয়েছেন। তবে সেই অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি।