তুরস্কের প্রেসিডেন্ট লুজান চুক্তির শত বছর উদযাপন করেছেন। সোমবার লুজান চুক্তি স্বাক্ষরের শতবর্ষ উদযাপন করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
১৯২৩ সালে আধুনিক তুর্কি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি স্বরূপ এই যুগান্তকারী চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, আজকে লুজান শান্তি চুক্তির ১০০তম বার্ষিকী, এ চুক্তি আমাদের ইতিহাসে নতুন সন্ধিক্ষণের সৃষ্টি করেছিল। তিনি বলেন, লুজান শান্তি চুক্তির আলোচনা ও স্বাক্ষরের সময় আমাদের জাতি তার ইচ্ছাকে শক্তভাবে উপস্থাপন করেছে এবং সে ইচ্ছাটা ছিল পূর্ণ স্বাধীনতার অর্জনের জন্য।
এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, লুজান চুক্তির মাধ্যমে আমরা যে অধিকার অর্জন করেছি তা আমরা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করব। নতুন পদক্ষেপের দ্বারা আমরা আমাদের দেশের অর্জনকে আরো দৃঢ় করব।
আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা গাজী মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক, তার সহযোদ্ধা, শহীদ ও গাজীদের প্রতিও এরদোগান শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
লুজান চুক্তি যখন স্বাক্ষরিত হয়, তখন এর পক্ষে ছিল তুরস্ক এবং অন্য পক্ষে ছিল ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, গ্রীস ও তাদের মিত্ররা। এ চুক্তির মাধ্যমে আধুনিক তুরস্ক রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মূলত, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে তুরস্কের উপর অন্যায্যভাবে আরোপিত সেভরেস চুক্তির পরিবর্তেই লুজান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।