জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান থাকায় এখনো কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর কাজ শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে অস্থায়ী ক্যাম্পাস করতে কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলসের ভবন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে ভর্তি ও পাঠদান কার্যক্রম চালু হবে জানিয়েছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসন।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভা বৈঠকে ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২০ এর খসড়া অনুমোদন করে। এরপর ২০২১ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রীসভার বৈঠকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা।
পরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ও মোগলবাসা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী নালিয়া দোলায় প্রাথমিকভাবে ২৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। ২০২৪ সাল থেকে তিন বিভাগে (ফিশারিজ, এগ্রিকালচার, এগ্রিইকোনমি) প্রতি বিভাগে ৩০টি আসন নিয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসেন।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কুড়িগ্রাম কৃষি বিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলস এর ভবন ব্যবহার করা হবে। এরই মধ্যে ওই ভবনগুলোর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৪ সাল থেকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি ও পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।