বৃহস্পতিবার , ২৭ জুলাই ২০২৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

বিদ্যালয়ের মিটার থেকে নিজের বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন শিক্ষিকা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুলাই ২৭, ২০২৩ ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিটারে অবৈধ সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। একাধিক অভিযোগ দিয়েও সংযোগ বন্ধ করতে পারেননি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।

অভিযুক্তের নাম মোছা. রওশনারা বেগম। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পরমালি বড়ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. জলিলুর রহমানের স্ত্রী।

সরেজমিনে জানা যায়, ১৪ হাজার টাকা বকেয়া থাকায় মোছা. রওশনারা বেগমের বাড়ির বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয় বিদ্যুৎ অফিস। এ অজুহাতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি জলিলুর রহমানের ক্ষমতার জোরে বিদ্যালয় থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন তিনি। স্কুল থেকে ৫০০ মিটার দূরে অবৈধ সংযোগ দিয়ে দুই মাসের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন তিনি। সব বিল পরিশোধ করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মো. মইনুল হোসেন নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, অবৈধভাবে নিজের বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া অপরাধ। সেখানে একজন সহকারী শিক্ষক কিভাবে বিদ্যালয়ের মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিলো এটা আমার বুঝে আসে না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা মোছা. রওশনারা বেগম বলেন, আমি বিদ্যুৎ অফিসকে জানিয়েছি কোনো সমস্যা নাই। নতুন মিটার পেলে স্কুলের বিদ্যুৎ আর ব্যবহার করবো না।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষিকার স্বামী জমি দাতা ও সাবেক সভাপতি হওয়ায় আমাদের না জানিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। ৩ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ না কাটলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মানবিক কারণে দুয়েকদিনের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। পরে অনেকবার ওই শিক্ষিকাকে সংযোগ বন্ধ করতে বলেছি। তিনি আজ-কাল করে অজুহাত দেখিয়ে বিলম্ব করছেন।

কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। আমরা এখনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি একজন অভিভাবকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত