সোমবার , ৩১ জুলাই ২০২৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

দেড় মণ ধানে এক কেজি ইলিশ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুলাই ৩১, ২০২৩ ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ

টাকায় নাকি আট মণ চাল পাওয়া যেত শায়েস্তা খাঁর আমলে। তবে মাছে-ভাতে বাঙালি তখন ইলিশ মাছ কত টাকায় কিনতেন, সে হিসাব ততটা প্রচলিত নয়। এখন কৃষকদের এক কেজি ইলিশ মাছ কিনতে হয় দেড় মণ ধানের বিনিময়ে। লক্ষ্মীপুরের হাটে ইলিশের দাম ও ধানের দামের এই চিত্র পাওয়া গেছে।

লক্ষ্মীপুর সদরের বাঞ্জানগর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম বলেন, তাঁর বাড়িতে জামাতা বেড়াতে এসেছেন। তাই বাজার করার জন্য হাটে দুই মণ ধান বিক্রি করেছেন ২ হাজার ১০০ টাকায়। ১ কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ কিনেছেন ১ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে।

আজ সোমবার লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। অথচ ওই এলাকার বাজারে ১ কেজি ওজনের ১টি ইলিশ মাছের দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। মেঘনা নদীতে এখন পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ছে না। এ কারণে লক্ষ্মীপুর জেলার হাটবাজারগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। অল্প কিছু বড় ইলিশ বাজারে এলেও তা বিক্রি হচ্ছে অস্বাভাবিক চড়া দামে।

দুই যুগ ধরে হাটে মাছ বিক্রি করেন মো. হারুন। তিনি বলেন, মৌসুমের শুরু থেকেই ইলিশের বাজার চড়া। এবারের মতো নদীতে এত কম ইলিশ মাছ তিনি আর দেখেননি। ক্রেতাদেরও একই অভিযোগ। নদীতে ইলিশ না থাকায় দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঠেকেছে। এমন আকাশচুম্বী দামে খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া আপাতত ইলিশের স্বাদ নিতে পারছেন না ক্রেতারা।

জেলার সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার জেলে মেঘনায় মাছ ধরেন। জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬৫ জন। এবার খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২৮ হাজার ৩৪৪ জন জেলেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর নিবন্ধিত ১৭ হাজার ৭২১ জন জেলে সম্পূর্ণ সুবিধাবঞ্চিত ছিলেন।

স্থানীয় জেলেরা বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকায় দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন তাঁরা। অন্যান্য বছর এ দুই মাস অনেকে অন্য কাজ করতেন। কিন্তু এবার তাঁরা কর্মহীন ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার দিনগুলোতে অলস সময় পার করতে হয়েছে তাঁদের। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে, এমন আশা ছিল তাঁদের। কিন্তু নদীতে নেমে দুই মাসের বেশি সময় ধরে হতাশ তাঁরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিগত বছর মাছের ঘাটগুলো থেকে এ সময় প্রতিদিন অনেক ইলিশ দেশের অভ্যন্তরের বাজারে পাঠানো হতো। কিন্তু এবার তুলনামূলক কম রপ্তানি হচ্ছে। তবে নদীতে পানি বাড়লে ও ভারী বৃষ্টি হলে ইলিশ বেশি ধরা পড়বে বলে তাঁরা আশাবাদী।

সর্বশেষ - আইন-আদালত