চট্টগ্রাম মহানগরীর হাজারীগলি এলাকা থেকে লুট হওয়া সোনার বারসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর থেকে গভীর রাত অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা, চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড ও হাজারীগলি এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে তাদের চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত রোববার (৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর আন্দরকিল্লা সড়কের হাজারীগলি এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতাররা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন বণিকপাড়া এলাকার মৃত অজিত বণিকের ছেলে প্রবীর বণিক (৪৪), তার ভাই জয়ন্ত বণিক (৪৮), জয়ন্ত বণিকের স্ত্রী শ্রাবণী বণিক (৩৪), নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন ঘাটফরহাদবেগ এলাকার মৃত আবদুল মোতালেব ড্রাইভারের ছেলে আবদুর রউফ (৫২) এবং চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানাধীন গাছবাড়িয়া খন্দকার পাড়া এলাকার মো. আজিমের ছেলে মো. মাঈনুদ্দীন হাসান তুষার (৩৮)।
তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৬টি সোনার বার ও সোনার বার বিক্রির নগদ ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালী থানা পুলিশ জানিয়েছে, হাজারীগলি পিয়াসী মার্কেটের বনলতা কাটিং সেন্টার নামের স্বর্ণালংকার তৈরির কারখানার ম্যানেজার কনক ধর। কনক তার প্রতিষ্ঠানের মালিকের নির্দেশে ১৪০ ভরি ওজনের ১৪টি সোনার বার নিয়ে গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় যাওয়ার পথে গত রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হাজারীগলির সামনে অজ্ঞাতপরিচয় চার ছিনতাইকারী তার সঙ্গে শপিং ব্যাগের ভেতরে থাকা ১৪টি সোনার বার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কনক ধর বাদী হয়ে সোমবার কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও কল ডিটেলস পর্যালোচনা করে ঘটনার মূলহোতা জয়ন্ত বণিককে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা এলাকা থেকে জয়ন্তকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে অন্যদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতার আসামিরা সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সদস্য। গ্রেফতারদের বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।