যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ২০৩৫ সালের মধ্যে আফ্রিকান পেঙ্গুইনের বিলুপ্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে ক্যাম্পেইনাররা।
গত একশ বছর ধরে আফ্রিকান পেঙ্গুইনের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমেছে। মনে করা হয়, ২০ শতাব্দীর দিকেও কয়েক মিলিয়ন জোড়া পেঙ্গুইন ছিল, যারা প্রজননে সক্ষম ছিল। অথচ সেই সংখ্যা এখন ১১ হাজারের নিচে চলে এসেছে এবং এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
এই প্রজাতীর পেঙ্গুইনকে বিপন্নের তালিকায় রেড লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার। বিজ্ঞানিরা জনিয়েছেন, যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে তাহলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে হারিয়ে যেতে পারে এই পেঙ্গুইন।
অত্যাধিক মাছ ধরার প্রবণতা ও ভারত মহাসাগরের আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন প্রজাতের মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে ব্যাপক খাদ্য সংকটে পড়েছে এসব পেঙ্গুইন। এছাড়া দূষণ, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও রোগের কারণেও হুমকিতে এই প্রাণীটি।
আফ্রিকান পেঙ্গুইনরা তাদের অস্বাভাবিক চিহ্ন ও স্বতন্ত্র ব্রেয়িং কলের জন্য পরিচিত। এরা বেশিরভাগই নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলে অবস্থিত দ্বীপগুলোতে বাস করে। এসব পেঙ্গুইনরা প্রায়শই শহরে চলে যায়। সেখানে বাগানে বাসা বাঁধতে, গাড়ির নিচে লুকিয়ে থাকতে ও কেপ টাউনের যাত্রীদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।