রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাছ-মুরগি, ডিম ও কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা আর ডিমের দাম হালিপ্রতি বেড়েছে ৪ টাকা। তবে কিছুটা স্থিতিশীল সবজির বাজার। শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে নগরীর সাহেববাজার, নিউমার্কেট ও সাগরপাড়া বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। গত সপ্তাহেও যা ছিল ১৭০ টাকা। এর আগে কোরবানির ঈদের পর থেকে মুরগির দাম কমতে থাকে। যা এক পর্যায়ে ১৫০ টাকায় নামে। তবে গত সপ্তাহ থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে দাম। একই সঙ্গে গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও বেড়েছে মাছের দাম।
সাগরপাড়ার মুরগি ব্যবসায়ী রিপন আলী জাগো নিউজকে বলেন, সপ্তাহখানেক ধরে বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সরবরাহ তুলনামূলক কম। এ কারণে দাম বেড়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় কিছুদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন একই মুরগির কেজি ২০০ টাকা। আগামী সপ্তাহে সরবারহ সংকট না কাটলে হয়তো দাম আরও বাড়তে পারে।
এদিন বাজারে সোনালী মুরগির কেজি ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা আর পাতিহাঁস প্রতি কেজি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির ডিমের দামও। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার দোকানে লাল ডিম ৫২ থেকে ৫৪ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১০০ পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২৫০ টাকায়। গত সপ্তাহেও লাল ডিমের দাম ছিল ৪৮-৫০ টাকা হালি আর সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ৪২-৪৪ টাকায়।
সাহেব বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, খামারিদের অতিরিক্ত লাভের কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। সঙ্গে সরবরাহ সংকটও রয়েছে।
বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে এ দাম ছিল ১৬০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা, আদা ২২০, দেশি রসুন ২২০ আর ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে ভালো মানের সাদা (গ্র্যানুলা) বা লাল (কার্ডিনাল) আলু কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। দেশি জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। এ সপ্তাহে পটল ৩০ টাকা কেজি, লাউ ৩০ থেকে টাকা, কচু ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০, করলা ৪০, শশা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০, সজনে ৫০ এবং ঝিঙে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, পাবদা ৫৫০ টাকা, পাঙাস ২২০ টাকা, দেশি কই ৬০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, রুই ৩৩০-৩৬০ টাকা, কাতল ৩৫০ টাকা এবং সিলভার কার্প প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানেও অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গত সপ্তাহের মত এ সপ্তাহেও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭২০ টাকা এবং খাসি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আফ্রিন হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, চলতি সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আমরা বাজার মনিটরিং করছি। আশা করছি ডিম-মুরগিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমে যাবে।