চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ছাড়া কারও মানবাধিকার নেই। এখন তারা পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতকে দেখাতে দেশে জঙ্গি নাটক শুরু করেছে। যারা ধর্ম পালন করেন তাদের জঙ্গি বানিয়ে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই। তারা নিজেদের দেশের মালিক মনে করে। নিজেদের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে দেওয়া রায় পরিবর্তন করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে দুর্নীতি পরায়ণ জাতিতে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। এর থেকে মুক্তি পেতে কঠিন আন্দোলন দরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চটগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আগামী ২৬ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা ও গণমিছিলের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের জনগণ অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে আছে। আজকের এ সরকার পতনের আন্দোলন বিএনপি বা বিরোধীদলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এ আন্দোলন জনগণের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ এখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলছে। কারণ তারা যখনই ক্ষমতা এসেছে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। তারা ক্ষমতায় আসার পর জনগণের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকারসহ সব গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক পরিবারও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে এখন সরকারের পক্ষে নেই। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। জনগণ সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের সঙ্গে হার মানেননি এ দেশের মুক্তিকামী জনতা। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আমার নেত্রী এরশাদ সরকারের সঙ্গে আপস করেননি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের এরশাদের পতন হয়েছিল। আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে দেশের গণতন্ত্রমুক্ত হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, অ্যাডভোকেট মুফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজম, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শম জামাল উদ্দিন, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহ্বায়কসাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটুসহ বিএনপি সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
