গত কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী চলা বৃষ্টির প্রবণতা কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশেই বৃষ্টি বেড়েছিল। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিও হচ্ছিল।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে। এছাড়া অতিভারী বৃষ্টির মধ্যে রংপুরে ১০৬, দিনাজপুরে ১৫১, সৈয়দপুরে ৯২, সন্দ্বীপে ১০৬, সীতাকুণ্ডে ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
রোববার ভোররাতে ঢাকায় এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। তবে সকাল থেকে আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টি নেই।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মোংলায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়-খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।