বাংলাদেশ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডার বাজারে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। কানাডার সংসদে গত জুনে পাশ হওয়া একটি বিল অনুযায়ী এ সুবিধা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের পর সব উন্নয়নশীল দেশের জন্য শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাড়িয়েছে কানাডা। এ থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নীতিগত এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের শিল্পকে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং আরও টেকসই কর্মক্ষেত্রে রূপান্তরিত করার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণ কার্যকর হওয়ার পর মসৃণ রূপান্তর অর্জনের জন্য বিজিএমইএ প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ২০২৩ সাল থেকে স্বল্প আয়ের দেশ ট্যারিফ স্কিমের আওতায় কানাডায় সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ভোগ করছে। এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কানাডা সরকার। এ স্কিমের আওতায় তৈরি পোশাক উৎপাদনের নিয়ম শিথিল করাসহ অন্যান্য পণ্যকেও কানাডায় শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।
নতুন এই স্কিমে শিল্পের শ্রম ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের ওপর ভিত্তি করে এই বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধাগুলোকে সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের ১১তম বৃহৎ রপ্তানি অংশীদার ছিল কানাডা। ওই অর্থবছরে সেখানে ১৭২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
এছাড়া উত্তর আমেরিকার দেশটি বাংলাদেশের পোশাকের অন্যতম প্রধান বাজারও। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৫৫ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩৩ কোটি মার্কিন ডলার ছিল। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে কানাডায় বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১৬.৫৫ শতাংশ।
পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের মতে, বাংলাদেশের এই বাজারে আরও প্রবেশের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। জিপিটি প্লাস সুবিধা নিয়ে কানাডায় রপ্তানি আরও বাড়াতে বাংলাদেশের লক্ষ্য নেওয়া উচিত।