চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের চালক জহুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের আরও তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাসুদ আলী এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন আসামি পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন যশোর জেলার চাচড়া রায়পাড়ার আব্দুস ছালামের ছেলে ফজলুর রহমান (৪৪), ঠাকুরগাঁও জেলার মাধবপুর গ্রামের শ্রী গনেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী দিপক কুমার রায় (৩৭) ও গোপালগঞ্জ জেলার গাড়ইগাত গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সুফিয়ান মোল্লা (৪০)। এরমধ্যে ফজলুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১০ আগস্ট বিকেলে দামুড়হুদার পরানপুর মাঠের এক বেগুন ক্ষেতে ইজিবাইক চালক চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার বাসিন্দা জহুরুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় তৎকালীন দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছর ৩০ নভেম্বর ৬ জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার উপ-পরির্দশক আরিফুর রহমান। পরে ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন বিচারক।
এ মামলায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি পিরোজপুর জেলার সেউতিবাড়ীয়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে জয়নাল হাওলাদার (৪২) পলাতক রয়েছেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলার অন্য দুই আসামি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার ইয়ামিন আলীর ছেলে মোহাম্মদ দিলন (৩৫) ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেনকে (৪২) বেকসুর খালাস দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি গিয়াস উদ্দিন জানান, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসাসিপক্ষের আইনজীবী ফজলে রাব্বি সাগর জানান, এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।