বুধবার , ৩০ আগস্ট ২০২৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

সাংবাদিক মুকুল হত্যার ২৫ বছর মামলা আটকে আছে হাইকোর্টে, ধরাছোঁয়ার বাইরে জড়িতরা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
আগস্ট ৩০, ২০২৩ ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

আড়াই দশকেও চিহ্নিত হলো না যশোরের আলোচিত দৈনিক রানার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলম মুকুলের ঘাতকরা। এর মধ্যে উচ্চ আদালতে রিটের কারণে একযুগেরও বেশি সময় ধরে মামলার বিচার কাজ স্থবির হয়ে আছে। আর উচ্চ আদালতে রিটের নিষ্পত্তি না হলে নিম্ন আদালতে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ২৫ বছর পার হলেও কোনো বিচার না পেয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ সাইফুল আলম মুকুলের পরিবার ও যশোরের সাংবাদিক সমাজ। এ অবস্থায় ৩০ আগস্ট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রয়াত সাংবাদিক মুকুলের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। পরদিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসপি) দুলাল উদ্দিন আকন্দ ১৯৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এক পর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম থমকে পড়ে। আর এ কারণে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি হাইকোর্ট থেকে বাতিল হয়।

দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ থেকে মুকুল হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে বর্ধিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সিআইডি কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। ২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল (৩) এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (২) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মুকুল হত্যা মামলার চার্জগঠন করা হয়।

এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামে আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১০ সালে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

আদালত সূত্র জানায়, মুকুল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আসামি ইত্তেফাকের সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেন। তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ায় ফের মুকুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ১৩ বছর ধরেই মামলাটির কার্যক্রম ওই অবস্থায় আছে। পরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে ফারাজী আজমল হোসেনের অংশ বাদ রেখে ফের বিচার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যত তা কার্যকর হয়নি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর এম ইদ্রিস আলী বলেন, মুকুল হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু হাইকোর্টে এক আসামির আবেদনের কারণে মামলাটির আর্গুমেন্ট শুরু হয়নি। হাইকোর্টে আবেদনের নিষ্পত্তির পর সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।

যশোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, আড়াই দশকেও মুকুল হত্যার বিচার না হওয়া কষ্টের। এতে হত্যাকারীরা উৎসাহী হবে। সাংবাদিকদের মনোবল ভেঙে পড়বে। তাই আমি আশা করবো সরকার মুকুল হত্যার সঠিক বিচারকাজ দ্রুত শুরু করবেন।

এ অবস্থায় আজ পালিত হচ্ছে শহীদ সাংবাদিক সাইফুল আলমের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে প্রেস ক্লাব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কর্মসূচি নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে শোক র‌্যালি, শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল হবে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত

সুপ্রিম কোর্ট বারে ভাঙচুর জুনিয়রদের শিক্ষার অভাব, জ্যেষ্ঠদের দায়ী করলেন বিচারপতি

বিএনপি নেতা চাঁদ ২ দিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ এত সুন্দর কখনই ভাবিনি: আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছিনতাই–চাঁদাবাজিতে আলোচিতরাও ঢাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে

মাইগ্রেশনের দাবিতে কেয়ার মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

আমেরিকার সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি স্থগিত ঘোষণা পুতিনের

নতুন বছর হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বছর: গয়েশ্বর

‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ বাস্তবায়নে ২৪৫ প্রকল্প

পদযাত্রার মাধ্যমে সরকার পতনের মেসেজ দিয়েছে জনগণ: আমির খসরু

ট্রাম্পের গ্রেফতার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়