প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির র্যালিতে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের হামলা, বাধা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আরও মামলা হয়েছে। রাজবাড়ী ও ময়মনসিংহে শনিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করে। এতে বিএনপির ১৬৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ আরও ৩ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার চার জেলায় বিএনপির ৩ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিল। এসব মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক ও নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। এতে রাজবাড়ী পজলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য আলী পনওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য নাসিরুল হক সাবুসহ ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৬৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। দুটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার রাতে রাজবাড়ী সদর থানার এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২,২০০ জনের বিরুদ্ধে ওই থানায় একটি মামলা করেন। একই সময় রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার (জিআরপি) এসআই বিধান চন্দ্র মল্লিক বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪৫০ জনের বিরুদ্ধে ওই থানায় একটি মামলা করেন।
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) : ফুলবাড়িয়া উপজেলায় বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে পুলিশ। এসআই আল আমিন বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় এ মামলা করেন। মামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর মল্লিক জীবনসহ ২৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে গৌরীপুরে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য এস.এম দুলাল ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. আ. রাশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শুভ সাহা জানান, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।