আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাবরণ করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘নব্বইয়ে’র গণঅভ্যুত্থান ও কিছু কথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য নেতারা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এটা বললে তাদের গা জ্বালা করে। নির্বাচন তো আমরা চাই, আমরা তো বিশ্বাস করি, নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এটা বিশ্বাস করে যারা তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচন যদি দলীয় সরকারের অধীনে হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যদি সেটা আবার আওয়ামী লীগের অধীনে হয়। তা তো কখনোই সুষ্ঠু হবে না।
দেশের বুদ্ধিজীবী ও সম্পাদকদের কোর্টের বারান্দায় গিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গিয়ে দেখুন, কীভাবে নেতাকর্মীরা হাজিরা দেন, কত সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী যাচ্ছেন। বলেন তো গণতন্ত্র আছে! এমন বিচারব্যবস্থা, যদি হাইকোর্ট জামিন দেন সেটা আবার নিম্ন আদালতে আটকে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় একটি সেল তৈরি করেছে, সেখানে দ্রুত রায় দিয়ে সাজা দেওয়া যায়। যারা দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে তাদের সবাইকে এক কাতারে শামিল হয়ে আদালতে যেতে হচ্ছে।
তিনি আশঙ্কা করে বলেন, আমার ধরণা, এক দেড় মাসের মধ্যেই আমানের মতো আমাকেও কারাগারে যেতে হতে পারে। কারণ যারা সরকারকে বলছে, তুমি চলে যাও, ছেড়ে দাও ক্ষমতা। সরকার তাদের সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।