“সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে মুসল্লিদের সুবিধার জন্য মসজিদ তৈরি করেছে। নানা সুযোগ-সুবিধা থাকায় নাম দিয়েছে ‘মডেল মসজিদ’। কিন্তু মসজিদঘেঁষা ময়লার ভাগাড়ের কারণে সরকারের উদ্যোগটি প্রশংসার পরিবর্তে সমালোচনা জম্ম দিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। বাইরে ফিটফাট থাকলেও ভেতরে উৎকট গন্ধে বিরক্ত মুসল্লিরা।”
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন মুসল্লি আনোয়ার হোসেন। তার মতোই মডেল মসজিদের পাশে ময়লা ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্যান্য মুসল্লিরা।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রাজালাখ ফার্ম এলাকায় অবস্থিত মসজিদটি ঘুরে দেখা যায়, ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাভার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ঘেঁষে রয়েছে ময়লার স্তূপ। সকাল-বিকেল পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লার ময়লা ভ্যান ও পিকআপে করে এনে ফেলা হচ্ছে। কঠিন ও তরল সবধরনের আবর্জনারই অস্তিত্ব রয়েছে সেখানে। একটু বাতাস হলেই নোংরা কাগজ ও পলিথিন উড়ে গিয়ে পড়ছে মসজিদ প্রাঙ্গণে। উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে মুসল্লিদের ইবাদতে বিঘ্ন ঘটছে।
রাসেল মিয়া নামের একজন মুসল্লি ক্ষোভ করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাইরে থেকে কত সুন্দর মনে হয়েছে। কিন্তু পাশে ময়লার দুর্গন্ধে পরিবেশটাই নষ্ট করে দিয়েছে। দেখার কেউ নেই। প্রধানমন্ত্রী দেওয়া উপহারের মসজিদটি এখন অবহেলার শিকার।’
ময়নাল হোসেন আরেকজন বলেন, ‘ফাঁকা জমি পেয়ে এখানে ময়লা ফেলছে পৌরসভা। ময়লার দুর্গন্ধের কারণে মসজিদটির প্রায় সবধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে।’
মসজিদের মুয়াজ্জিন ইমাম হাসান বলেন, ‘আবর্জনার কারণে মসজিদের ভেতর অতিরিক্ত সময় বসে থাকা কষ্টকর। এছাড়া মশার উৎপাত এতো বেশি যে কয়েল জ্বালিয়ে ও স্প্রে দিয়েও কমানো যায় না।’
এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদের জানানোর কথা তারা সবাই জানেন। তবে কেউ উদ্যোগ নেন না। এ বিষয়ে আমার কোনো কথা নেই।
মডেল মসজিদের পাশে ময়লা ফেলার বিষয়ে সাভার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল গণি বলেন, স্থানটিতে মূলত সাভার বাজারের আশপাশের ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা ফেলে রেখে যান। প্রতিদিন আমাদের কর্মীরা তা পরিষ্কার করেন।
পৌরসভার গাড়িতেও এখানে ময়লা ফেলা হয়, এটা কেন জানতে চাইলে মেয়র বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।