একটা বহুজাতিক টুর্নামেন্ট। এর মধ্যে হঠাৎ করেই একটি বিশেষ ম্যাচকে আলাদা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সেই ম্যাচের জন্য রাখা হচ্ছে, রিজার্ভ ডে। অথচ, ম্যাচটি ফাইনালও নয়। অংশগ্রহণকারী অন্য দুই দলের জন্য এমন কোনো সুবিধা রাখা হচ্ছে না। বিষয়টা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনই ন্যাক্কারজনক। এভাবে দুটি বিশেষ দলের একটি বিশেষ ম্যাচকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
চলমান এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে একটি রিজার্ভ ডে। শ্রীলঙ্কা বৃষ্টিপ্রবণ হওয়ার কারণেই এই রিজার্ভ ডে’টি রাখা হলো। কিন্তু হঠাৎ করেই খবর এলো, সুপার ফোরে শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটির জন্যও রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।
অর্থ্যাৎ, শুধুমাত্র ভারত এবং পাকিস্তানের জন্য এই বিশেষ সুবিধা। এর অর্থ, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যদি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়, তাহলে পরদিন ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। একই টুর্নামেন্টে এমন দ্বৈত নীতির কঠোর সমালোচনা করলেন টাইগার কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে।
গ্রুপ পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত-পাকিস্তান। পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। সুপার ফোরেও মুখোমুখি ভারত এবং পাকিস্তান। আগের ম্যাচের মত এবারও বৃষ্টিতে ভেসে গেলে যেন ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে পারে সে কারণেই নেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত!
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) বিষয়টি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তবে ‘ক্রিকইনফো’র জানিয়ে দিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। আজ শনিবার কলম্বোতে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ম্যাচেও বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু নেই কোনো রিজার্ভ ডে। এ কারণে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে ক্ষোভ ঝাড়লেন বাংলাদেশ কোচ। বর্তমানে এসিসির সভাপতি পদে আছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ। নিজেদের স্বার্থ থাকায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) কোনো আপত্তি করেনি।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ কোচ হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে অংশগ্রহণকারী ছয় দেশের প্রতিনিধি নিয়ে একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে। তাই তো কোনো কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকবে। এটা ঠিক নয়। কারণ, আমরাও একটা অতিরিক্ত দিন চাইতে পারি। এ ছাড়া এটা নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। কারণ, তারা একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।’
হাতুরুর কথায় পরিস্কার, অনেকটা একতরফাভাবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসিসি। টুর্নামেন্টের মাঝপথে এভাবে নিয়ম পরিবর্তন করা নজিরবিহীন বলে মনে করেন হাথুরু, ‘একবার যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে, আমাদের বেশি কিছু বলার নেই। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে আগে আলোচনা করলে এ নিয়ে মতামত দিতে পারতাম। এ সিদ্ধান্ত যখন নেওয়াই হয়ে গেছে, আমার এ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই…। টুর্নামেন্টের মাঝপথে নিয়ম পরিবর্তন করার এ ঘটনা আমি অন্য কোনো টুর্নামেন্টে দেখিনি।’