লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েল’র প্রভাবে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৫০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের মধ্যে লিবিয়া ন্যাশনাল আর্মির সাত সদস্যও রয়েছেন। এদিকে, বেনগাজির রেড ক্রিসেন্ট প্রধান বলেছেন, বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২৫০ জনে পৌঁছাতে পারে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) লিবিয়ার বেনগাজি, সুসে, আল বায়দা, আল মার্জ ও ডেরনা শহরে আঘাত আনে ঘূর্ণিঝড়টি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ড্যানিয়েল আঘাত হানার পর গাড়ির ছাদে ও উঁচু জাগাগায় বসে আছেন স্থানীয়রা। তাদের সামনে কোমর সমান বন্যার পানি।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা কাইস ফাখেরি রয়টার্সকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যুর বিষযে নিশ্চিত হয়েছি। ভবনধসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আমরাদের আশঙ্কা এই সংখ্যা ২৫০ হতে পারে। পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
অন্যান্য অঞ্চলের হতাহতের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। সালেহ আল ওবাইদি নামে এক বাসিন্দা বলেন, আমি আজ সকালে আমার পরিবারসহ নিরাপদ স্থানে আসতে পেরেছি। সকালে যখন সবাই ঘুম থেকে উঠি, তখন দেখি বাড়ির চারপাশ পানিতে ডুবে গেছে।
আহমেদ মোহমেদ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। যখন ঘুম ভাঙলো, তখন দেখলাম চারপাশে পানি। আমরা ভেতরে আটকা পড়ে ছিলাম। পরে উদ্ধারকারীরা আমাদের উদ্ধার করে।
স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম অলমোস্তবালের ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায়, বন্যার পানিতে একাধিক গাড়ি ভেসে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রায় ১০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। রাস লানুফ, জুয়েতিনা, ব্রেগা ও এস সিদরা, লিবিয়ার চারটি বড় তেল বন্দরই শনিবার সন্ধ্যা থেকে তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা