১৫টি দল নিয়ে প্রগতিশীল ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ জোটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
জোটের চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের সভাপতিত্বে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম খান।
জোটভুক্ত দলগুলো হচ্ছে- ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামী ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজিপি), ইসলামিক লিবারেল পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।
সম্মেলনে প্রগতিশীল ইসলামী জোটের ১০ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। দাবি বাস্তবায়নে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসজুড়ে জোট বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা হারিছুল হক, মো. আতাউল্লাহ খান, মুফতি মাহাদী হাসান বুলবুল, প্রফেসর কাজি মহিউদ্দিন সৌরভ, খন্দকার এনামুল নাছির, সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকি, মো. নাঈম হাসান, ডা. মোহাম্মদ সম্রাট জুয়েল, মো. আখতার হোসেন, হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নবগঠিত জোট ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, একটি গণবিরোধী শক্তি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বমুখী পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যখন বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে তখনই দেশ-বিদেশে চলছে চক্রান্ত। চলছে বাংলাদেশকে আবারো পেছনে টেনে নেওয়ার ষড়যন্ত্র।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।