জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেসকো) বলেছে, ইউক্রেনের দুটি নগরের বড় বড় ঐতিহাসিক এলাকা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। এসব জায়গার পুরোপুরি সুরক্ষা নিশ্চিত করার মতো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
কিয়েভের সেন্ট সোফিয়া ক্যাথেড্রাল এবং কিয়েভ-পেচেরস্ক লাভরা নামের মঠ এলাকায় মধ্যযুগে নির্মিত ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ইউনেসকো। সংস্থার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় নাম থাকা লিভিভ নগরের ঐতিহাসিক কেন্দ্রকেও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যসংক্রান্ত কমিটি বলেছে, এসব এলাকায় সরাসরি হামলার ঝুঁকি যেমন আছে, তেমনি দুই নগরে বোমা হামলার কম্পনের কারণেও এগুলো হুমকিতে আছে।
ইউনেসকো আরও বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় এসব জায়গাকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা যেন এসব জায়গার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
ইউক্রেন আর কত দিন পাল্টা হামলা চালাতে পারবে, জানালেন মার্কিন সেনাপ্রধান
কিয়েভের সেন্ট সোফিয়া ক্যাথেড্রালে এখন পর্যন্ত কোনো হামলা হয়নি। জাতিসংঘকে রাশিয়া আশ্বস্ত করে বলেছে, ওই এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করছে।
তবে রাশিয়ার এ বক্তব্য মানতে রাজি নয় ইউক্রেন।
এর আগে গত জানুয়ারিতে ইউক্রেনের বন্দরনগরী ওদেসাকে জাতিসংঘের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় যুক্ত করা হয়।
ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওদেসায় বোমা হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বোমা হামলা নিয়ে মাঝেমাঝে ইউনেসকো সমালোচনা করে থাকে। জুলাইয়ে লিভিভের ঐতিহাসিক প্রাচীন শহরের কাছের একটি ভবনে বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছিল সংস্থাটি।
বর্তমানে বিশ্বের ৫০টির বেশি জায়গাকে ইউনেসকোর ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত অন্য জায়গার মধ্যে আছে জেরুজালেমের ওল্ড সিটি, ভিয়েনার ঐতিহাসিক কেন্দ্র এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের রেইনফরেস্ট (চিরহরিৎ বন)।