চা বোর্ডের অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে চা মজুতের অপরাধে চট্টগ্রামের সৈয়দ টি ওয়্যারহাউজের দুটি গোডাউন এবং এনএনটি ওয়্যারহাউজের একটি গোডাউন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সৈয়দ টি ওয়্যারহাউজ তাদের অনুমোদিত একটি গোডাউনের বাইরে আরও দুইটি গোডাউন-শেইড স্থাপন করে চা মজুত করে আসছিল। অন্যদিকে এন এন টি ওয়্যারহাউজ ১টি গোডাউনের অনুমতি নিয়ে দুইটি গোডাউন/শেইডে চা মজুত করছিল। অনুমোদনহীন অবৈধ গোডাউন/সেইড তিনটি বন্ধ করা হয়েছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর ফৌজদারহাট এলাকায় অবস্থিত ওয়্যারহাউজ দুটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে সৈয়দ টি ওয়্যারহাউজে আছিব ব্রাদার্সের অবৈধ চা মজুত ছিল বলে প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর এবং ১২ সেপ্টেম্বর পৃথক অভিযানে আছিবুর রহমানের মালিকানাধীন সীতাকুণ্ড উপজেলার বানুর পাড়া এলাকায় অবস্থিত আছিব ব্রাদার্সের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৪ টন মেয়াদোত্তীর্ণ ও দুর্গন্ধযুক্ত চা জব্দ ও ধ্বংস করে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্যবসায়ী চক্র চা বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে ওয়্যারহাউজের গোডাউনে অবৈধ ও নিম্নমানের চা মজুত ও বাজারজাত করছে। এছাড়া কালোবাজার থেকে এসব অবৈধ চা ক্রয়ের ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চা ব্যবসার এসব নানা ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে এমন অভিযান চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল বোরহান, ফটোগ্রাফার আকিব মর্তুজা এসময় উপস্থিত ছিলেন।