মঙ্গলবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে ২৩ কেজি সোনা উদ্ধার

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ ১:২৭ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে ৬৬টি সোনার বারসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। জব্দ সোনার ওজন প্রায় ২৩ কেজি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৪ কোটি রুপি।

জানা যায়, গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার রনঘাট সীমান্তের জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পান, তাদের এলাকার ভ্যান মোড় দিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার হতে চলেছে।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফের কমান্ডারের নেতৃত্বে একটি দল ভ্যান মোড়ে পৌঁছে রাস্তার ধারে লুকিয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরেই জওয়ানরা এক সন্দেহজনক বাইকআরোহীকে আসতে দেখেন। কাছাকাছি এলে সেই বাইকআরোহীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই ব্যক্তি ঘাবড়ে যান এবং বাইক ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ধরে বাইকসহ সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসেন জওয়ানরা।

এরপর বাইকটিকে ভালোভাবে তল্লাশি করলে সেটির এয়ার ফিল্টার থেকে ৬৬টি সোনার বার খুঁজে পায় বিএসএফ।

পাচারকারীর নাম ইন্দ্রজিৎ পাত্র, বয়স ২৩ বছর। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার কুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে ইন্দ্রজিৎ জানান, অলডাঙ্গা গ্রামে তার ভাইয়ের একটি জুয়েলারি দোকান রয়েছে এবং তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে জুয়েলারির কাজ করেন।

ইন্দ্রজিৎ আরও জানান, কিছুদিন আগে রনঘাট গ্রামের বাসিন্দা সমীর (৫০) তার সঙ্গে দেখা করেন। রনঘাট থেকে বনগাঁ সোনা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে চুক্তি করেন সমীর। বিনিময়ে প্রতিমাসে ১৫ হাজার রুপি পাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে।

সোমবার সোনার বারগুলো ইন্দ্রজিতের কাছ থেকে নেওয়ার কথা ছিল সমীরের। এ কারণে সেগুলো বাইকের এয়ার ফিল্টারের লুকিয়ে ভ্যান মোড় হয়ে বনগায় নিয়ে যাচ্ছিলেন।

পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটক পাচারকারী ও জব্দ সোনাগুলো বাগদা কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

বিএসএফের ডিআইজি এ কে আর্য জানান, বড় চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে। তারা সাধারণত চোরাচালানোর সময় সরাসরি জড়িত থাকে না। তাই এই কাজের জন্য গরিবদের নিশানা করা হয়।

সর্বশেষ - আইন-আদালত