হরদীপ সিং নিজ্জরের পর কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের আরেক নেতা খুন হয়েছেন। সুখদুল সিং নামের ওই ব্যক্তি সুখা দুনেক নামেও পরিচিত। কানাডার উইনিপেগে গতকাল বুধবার রাতে দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে সহিংসতা চলাকালে গুলিতে তিনি খুন হন বলে এনডিটিভির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। দুনেক কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা এনআইএর গতকাল বুধবার প্রকাশিত তালিকায় দুনেককে ‘এ ক্যাটাগরির’ সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি পাঞ্জাবের মোগা থেকে ২০১৭ সালে কানাডায় পালিয়ে যান। ভারতের দাবি, তিনি ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে কানাডায় গেছেন। তিনি ভারতের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আর্শদীপ দালার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে দাবি করা হয়েছে।
হরদীপ হত্যায় ভারতের সম্ভাব্য যোগসূত্র নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র
দুনেক খুন হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে গত সোমবার কানাডার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সরকারের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে, গত জুনে কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্ট জড়িত।
অবশ্য ভারত সরকার খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিংকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী মনে করে।
ট্রুডোর অভিযোগের পর প্রথমে কানাডা ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। তাদের দাবি, ওই কর্মকর্তা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) কর্মকর্তা। জবাবে ভারতও কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।
ভারত–কানাডার টানাপোড়েন: কে এই শিখ নেতা হরদীপ সিং
ভারত ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ‘অবাস্তব’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
নিজ্জর (৪৫) ভারতের পাঞ্জাবের নাগরিক এবং তিনি ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তান টাইগার ফোর্সের (কেটিএফ) প্রধান। গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারেতে গুরুদুয়ারার বাইরে খুন হন তিনি। ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে এবং তাঁকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।