অবশেষে ডিভোর্স প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। দাম্পত্য কলহের কারণে বছরজুড়েই খবরের শিরোনাম হয়েছেন শরিফুল রাজ ও পরীমণি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্বামী রাজকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পরী।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন বলে অকপটে জানিয়েছেন এ নায়িকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরোনো একটি স্ট্যাটাসের কথা মনে করিয়ে দিয়ে জানিয়েছেন নিয়ম মেনেই স্বামীকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন তিনি। পাঠকদের সুবিধার জন্য পরীমণির পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘নিশ্চয়ই এ স্ট্যাটাস-এর কথা মনে আছে অনেকেরই! সেবারও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেইসবুক থেকে এটা ডিলিট করে দিয়েছিল। তারপর এসব ঘটনা সে পুনরাবৃত্তি করেছে বার বার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড-এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে! একই রকম ভুলের ক্ষমা কত বার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম।
কিন্তু সে কখনোই এ সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন। যে কি না এ সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেলো প্রতিনিয়ত! আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেতো কারণ আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এসবে বারবার আমি অসন্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন।
আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ওয়েতে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেওয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যেয়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
বি. দ্র. আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করবো। এতদিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ানশিপ এখন তার মায়ের। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন। ধন্যবাদ।’
জানা গেছে, ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়েই ২০২১ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পরীমণি ও শরিফুল রাজ। পরে তারা একই বছরের ১৭ অক্টোবর ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট এ দম্পতির ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।