বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ার করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপির নেতারা যদি সংঘাত সৃষ্টি করেন, সংঘাতের পথে এগিয়ে যান, দেশেে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেন, উন্নয়নের পথে যদি বাধা সৃষ্টি করেন তাহলে যে হাতে বোমা মারবে সে হাত ভেঙে দেওয়া হবে। যে হাতে আগুন দেবে সে হাত আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী এই সহায়তা প্রদান করা হয়।
দেশ সংঘাতের দিকে যাবে এবং আরও যাবে বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে নানক বলেন, ফখরুল ইসলাম সাহেব নির্বাচন হবে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। আমাদেরকে হুমকি দিয়ে লাভ নাই। ২০০৮ সালের শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে এই বাংলার জনগণ ক্ষমতায় এনেছিল।
আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় একদিনও অতীতে থাকে নাই জানিয়ে নানক বলেন, আমরা জনগণের ওপর নির্ভরশীল। এসময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের আগামী দিনে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান নানক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আসে না। বন্দুকের নলের জোরেও ক্ষমতায় আসে না। জনগণকে নিয়েই নির্বাচন করে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা যা বলি তা করি। নানক কলেন, এই মোহাম্মদপুর, আদাবর, আগারগাঁও কি ছিল? এই এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিএনপি জামায়াতের আমলে ধ্বংস করা হয়েছিল। আমার সময়ে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই এলাকা সন্ত্রাস মাদকের অভয়ারণ্য ছিল। আমার আমলে এই এলাকা মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত হয়। কাজেই আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে জনগণের উন্নয়ন ঘটে। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে এই ঢাকা-১৩ আসনের উন্নয়ন হয়, এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আল্লাহ বিপদ দিয়েছেন আল্লাহই বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি পাশে থাকবো। আপনাদের এই সহযোগিতায় এখানেই শেষ নেয়। আপনাদের জন্য আমার সহযোগিতা চলমান থাকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সভাপতি সলিমুল্লাহ সলুর সভাপতি অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক খান, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ কৃষি মাকের্টের বাজার কমিটির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।