পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে নিজ দেশের রাষ্ট্রদূত এবং সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে গত জুলাই মাসে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে নাইজারের সামরিক বাহিনী। ওই অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতেই নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত এবং সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিল ফ্রান্স।
স্থানীয় সময় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্স সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আমাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য কূটনীতিকরা ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, নাইজারে সামরিক সহযোগিতার ইতি ঘটেছে এবং দেশটিতে অবস্থানরত দেড় হাজার ফরাসি সেনাকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
গত ২৬ জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ম্যাক্রোঁ। এদিকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত এবং সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে নাইজারের সামরিক বাহিনী।
জাতীয় টেলিভিশনে সামরিক সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, চলতি সপ্তাহে আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বে আরও একটি নতুন পদক্ষেপ উদযাপন করতে যাচ্ছি। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা নাইজেরিয়ান জনগণের সংকল্প এবং ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করে। সম্প্রতি মালি এবং বুরকিনা ফাসোও তাদের দেশ থেকে ফরাসি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি স্বাভাবিক ভাবেই এসব দেশের সরকারের জন্য ছোটখাট বিজয় এবং ফ্রান্সের জন্য লজ্জার বলা যেতে পারে। মালি, বুরকিনা ফাসোর পর তৃতীয় দেশ হিসেবে নাইজার তাদের দেশ থেকে ফরাসি সেনাদের চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বর্তমানে নাইজারে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মূলত দূতাবাসের ভেতরে জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। নাইজারের নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না। দূতাবাসের ভেতরে থাকা খাবার দিয়েই দিন কাটছে তার।