নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বতর্মান ও সাবেক তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ১২ জন নেতাকর্মীর জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
কারাগারে যাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আ য়ক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ পাঠান, বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ ছাদিকুর রহমান শিশু, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ফুলকাছ মিয়া, নবীগঞ্জ সদর ইউপি বিএনপির সভাপতি এনাম উদ্দিন, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েল, উপজেলা যুবদল নেতা শেখ শিপন মিয়া, পৌর যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুর রহমান লেবু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মকবুল চৌধুরী, আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সদস্য শফিকুজ্জামান রুহেল, দেবপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বকুল মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য জামিল আহমেদ।
জানা যায়- ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের পূর্বে নবীগঞ্জ পৌরসভার ছালামতপুর এলাকাস্থ হাজারী কমিউনিটি সেন্টারের পাশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তৎক্ষালিক নবীগঞ্জ থানার এসআই গৌতম সরকার বাদী হয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এতে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফুসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার বিকেলে ওই মামলায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির নেতাকর্মীরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।