গত মাসে জ্বালানি তেলের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়া। মাত্র চারটি বাদে বিশ্বের বাকি সব দেশে ডিজেল ও পেট্রল রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি। ২১ সেপ্টেম্বর রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের সই করা এক ডিক্রিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানায় বেলারুশ, কাজাখস্তান, আর্মেনিয়া ও কিরগিজস্তান এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এই চারটি দেশই মস্কোর নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সদস্য।
তবে এই জ্বালানি পণ্যে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কবে নাগাদ প্রত্যাহার করা হবে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেনি রাশিয়া।
উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাকের বরাত দিয়ে ইন্টার ফ্যাক্স জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ ঘাটতি ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এদিকে নোভাকের বরাত সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। পাম্পে তেলের দাম কমাতে চায় তারা।
বিশ্বের অন্যতম তেলে উৎপাদনকারী দেশ হওয়ার সত্ত্বেও সম্প্রতি পেট্রল ও ডিজেলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে রাশিয়ায়। এর অন্যতম কারণ হলো দাম বেশি পাওয়ায় বিদেশে তেল বিক্রি করছে পরিশোধনকারীরা।
রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরই রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দাম কমেছে। পেট্রলের দাম কমেছে অন্তত ১০ শতাংশ। আর ডিজেলের দাম কমেছে ২৩ শতাংশ।
বিশ্বে ডিজেল ও পেট্রলসহ অপরিশোধিত তেলের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী রাশিয়া। ফলে ক্রেমলিনের এই নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এরই মধ্যে ওপেক প্লাসের উৎপাদন কমানোর ঘোষণায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবার) ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্ট ক্রুড কেনাবেচা হয়েছে ৯০ ডলারের উপরে। আর প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্ডারমিডিয়েটে খরচ পড়ছে প্রায় ৮৯ ডলার।
সূত্র: রয়টার্স