মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ২৯ বাংলাদেশি আজ মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে আজ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক হয়। এই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ২৯ বাংলাদেশি টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন।
যে ২৯ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন, তাঁদের মধ্যে ২৩ জন কক্সবাজারের, ৪ জন বান্দরবানের ও ২ জন রাঙামাটির বাসিন্দা। বিভিন্ন সময় তাঁরা মিয়ানমারে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। অনুপ্রবেশ করায় তাঁদের গ্রেপ্তার করেছিল দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। পরে মিয়ানমারে তাঁদের বিচার হয়। বিচারে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস ও সিতওয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রচেষ্টার ফলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর ২৯ বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন সম্ভব হলো।
এর আগে ২০২২ সালের ২৩ মার্চ ৪১ বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে আজকের হস্তান্তর অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সিতওয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জাকির আহমেদ।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ার ফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ২৯ বাংলাদেশির প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সহযোগিতা কামনা করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ পতাকা বৈঠক হয়। সিতওয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট ২৯ বাংলাদেশির অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে। পরে তাঁরা দেশে ফেরেন।