পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, গাড়িচালকদেরকে অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। শব্দদূষণ বিষয়ে প্রচলিত বিধিনিষেধ মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেছেন, শব্দদূষণ বিষয়ে প্রচলিত বিধিনিষেধ মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শব্দদূষণ রোধে পরিবহন চালক/শ্রমিক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, কারখানা ও নির্মাণশ্রমিক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শব্দদূষণ রোধে একটি নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দেশের সব গাড়িচালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন পরিবেশ সচিব।
ফারহিনা আহমেদ বলেন, শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক। শব্দদূষণের ফলে ঘুমের ব্যঘাত, ডিপ্রেশন এবং মানসিক অসুস্থতা, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রেস, শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা এবং নবজাতক প্রতিবন্ধী হয়। শব্দদূষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে পাঠ্য বইয়ে এটা অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে অপ্রয়োজনে শব্দদূষণ করতে না পরে সে লক্ষ্যে প্রচলিত বিধি সংশোধনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (ইএনটি) ডা. হুসনে কমর ওসমানী এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মাসুমা খানম প্রমুখ। কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা ও গাড়ি চালকরা বক্তব্য দেন।