বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবুর সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তৃতা করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতন্ত্রী দলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবু হাসান টিপু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভুঁইয়া প্রমুখ।
আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, অন্যথায় গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি হতে হবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার এত হত্যা করেছে, এত অত্যাচার করেছে যে, তাদের কারো কারোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। এই সরকার একা হয়ে গেছে। তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
সাইফুল হক বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক থেকে বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে হেফাজতের চেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটানোর হুমকি দিচ্ছে। এসব হুমকিতে সরকার তার অবৈধ গদি কোনোভাবেই রক্ষা করতে পারবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
গণসমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি সেগুনবাগিচায় গিয়ে শেষ হয়।