শুক্রবার , ২০ অক্টোবর ২০২৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

মৃত্যুর পর শফি বিক্রমপুরীকে ভুলে গেলো বিএনপি!

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ২০, ২০২৩ ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই দলের এক সময়ের নিবেদিত নেতা শফি বিক্রমপুরীকে ভুলে গেলো বিএনপি! তার মৃত্যুতে দলের পক্ষ থেকে শোক জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হলেও তিনি যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন সেটা উল্লেখ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর সই করা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক শোকবার্তায় বলা হয়, মেসার্স যমুনা ফিল্ম করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশক ও চলচ্চিত্র পরিচালক শফি বিক্রমপুরী থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

শফি বিক্রমপুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবিসংবাদিত চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক শফি বিক্রমপুরী তার কর্মের জন্য দেশের মানুষের মনে চিরজাগরুক হয়ে থাকবেন। ব্যতিক্রমী এবং সৃজনশীল চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার মতো একজন গুণী নির্মাতার পৃথিবী থেকে চলে যাওয়াতে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে এক বড় ধরনের ক্ষতি হলো।

বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় শফি বিক্রমপুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শফি বিক্রমপুরীর মৃত্যুতে পৃথক শোকবার্তা দেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ এবং স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।

শোকবার্তায় তারা দেশের স্বনামধন্য এ চলচ্চিত্র নির্মাতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক-পরিবেশক শফি বিক্রমপুরীর নাম বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি দেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন। আমরা শফি বিক্রমপুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানাচ্ছি।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মহিউদ্দিন খান মোহন।

মোহন জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও সহ-প্রকাশনা সম্পাদক শফি বিক্রমপুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে দলটির মহাসচিব ও অন্য দুজন নেতা আজ যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা দেখে আমি স্তম্ভিত। তিনি যে বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন, শোকবার্তার কোথাও এর উল্লেখ নেই। বিবৃতিদাতারা কি জানেন না শফি বিক্রমপুরীর রাজনৈতিক পরিচয়? আজকের যিনি মহাসচিব, তিনি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার ১০ বছর আগে (১৯৮০ সাল) থেকে শফি বিক্রমপুরী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রথমে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, পরে ২০০৯ সালের কাউন্সিলে সহ-প্রকাশনা সম্পাদক হন। অজ্ঞাত কারণে ২০১৬ সালের কাউন্সিলে তাকে বাদ দেওয়া হয়। পদোন্নতি তো দূরে, সদস্যও রাখা হয়নি তাকে।

মহিউদ্দিন খান মোহন আরও বলেন, মির্জা ফখরুল দলে এসেছেন ১৯৯০ সালে। তিনি বিএনপির জন্য শফি বিক্রমপুরীর অবদানের কথা না-ও জানতে পারেন। কিন্তু তার প্রিয়পাত্র ও অত্যন্ত স্নেহভাজন আব্দুস সালাম আজাদ এবং মীর সরফত আলী সপুর তো সব জানা থাকার কথা! শোকবার্তাটি গণমাধ্যমে পাঠানোর আগে তারা কি তা পড়ে দেখেননি? নাকি তাদের না দেখিয়েই তা পাঠানো হয়েছে?

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শফি বিক্রমপুরীর মতো নিবেদিতপ্রাণ একজন বিএনপি নেতার প্রতি তার দলের এমন অপমানসূচক আচরণে আমি ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত। বেঁচে থাকতে আপনারা তাকে বিনা অপরাধে দল থেকে বাদ দিয়ে অপমান করেছেন। মৃত্যুর পরও তাকে এ ধরনের অপমান না করলে কি হতো না?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাইফুল ইসলাম টিপু জাগো নিউজকে বলেন, এখন হয়তো তিনি কোনো পদে নেই। তাই হয়তো তার দলীয় পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

শফি বিক্রমপুরী দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। ব্যাংককে যাওয়ার আগে গত জুনে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেসময় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শফি বিক্রমপুরীর জন্ম ১৯৪৩ সালের ৪ জুলাই মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার মত্তগ্রামে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত