আর মাত্র তিনদিন পরেই ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রচারণার একদম শেষ মুহূর্তে এসে প্রার্থীসহ কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের নজর কাড়তে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
এরই ধারাবাহিকতায় মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান ও সিরাজদিখান আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মঈনুল হাসান নাহিদ তার নির্বাচনি প্রতীক মোটরসাইকেল এর পক্ষে জনগণের রায় বাড়াতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন।
শনিবার বিকালে কেয়াইন কুচিয়ামোড়া কলেজ গেইট মাঠ থেকে এক নির্বাচনি মিছিল বের হয়ে ইসলামপুর গাবরপাড়া স্থাপিত তার নির্বাচনি প্রচারণা কেন্দ্রে ভোটার, কর্মী-সমর্থক, দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
মঈনুল হাসান নাহিদ বলেন, সিরাজদিখান উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে ও মডেল উপজেলা হিসেবে পরিচিতি পেতে যা যা করার দরকার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তাই করব ইনশাআল্লাহ। আমি সুনামের সঙ্গে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। এসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উপজেলার উন্নয়ন ঘটাতে চাই।
এ সময় নাহিদ প্রতিদ্বন্দী অন্য সব চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে নিজেকে সেরা ও সময়োপযোগী প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে থাকব আপসহীন। আমি যেহেতু দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই, সেহেতু কোনো প্রকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। তাই সার্বিক উন্নয়নসহ স্মার্ট সিরাজদিখান গড়ার প্রত্যয়ে আমাকে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আশ্রাফ আলী, রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ, কেয়াইন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অসিত দাস, বাসাইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মাসুদ লস্কর, সিরাজদিখান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাবেক আহ্বায়ক কামাল হোসেন লাল, যুবলীগ সভাপতি বিদ্যুৎ আহম্মেদ, কেয়াইন ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, সিরাজদিখান উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শাখাওয়াৎ হোসেন সৈকত প্রমুখ।