১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে রাজশাহী পাউবো প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল নির্মাণকাজ বন্ধের ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদনের মাধ্যমে আদালতকে জানাতে মহাপুলিশ পরিদর্শক, আরএমপি কমিশনার ও বোয়ালিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে উচ্চ আদালতের আদেশের ২৪ ঘণ্টা পরও পুলিশ সন্ত্রাসীদের কাউকেও আটক করতে পারেনি বলে জানা গেছে। সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হওয়ায় বুধবারও ম্যুরাল নির্মাণ বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, রাজশাহী পাউবো চত্বরে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কাজের ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে খন্দকার কনস্ট্রাকশনকে। অভিযোগ মতে, গত ২৬ মে দুপুরে নগরীর সপুরা ও শালবাগান এলাকার সন্ত্রাসী মোস্তাকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সপুরা এলাকায় অবস্থিত পাউবোর বিভাগীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে ঢুকে ম্যুরাল নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মারধর করে। ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেলে ম্যুরাল নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শ্রমিকরা আর কাজে ফেরেনি। এ ঘটনার পর পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুকেশ কুমার রায় আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। পাউবোর অভিযোগটি পুলিশ সাধারণ ডায়েরি আকারে রেকর্ড করেন।
জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের বাধায় বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চারনেতার ম্যুরাল নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ার খবরটি মঙ্গলবার দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ জনস্বার্থে উচ্চ আদালতের নজরে আনেন। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে সাত দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণে বাধা প্রদানকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। আদেশপরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল রাফেল।
এ বিষয়ে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, ঘটনার বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে একটা সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। মামলার জন্য আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে অভিযোগ চেয়েছি। অভিযোগ পেলে মামলা করে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান ওসি।