সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থানকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ববির গেটের সামনে মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের হামলায় সাধারণ শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম ও আবু ওবায়দাসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
অবরোধের প্রভাবে মহাসড়কের দুই পাশে অন্তত ৫ কিলোমিটার মহাসড়কে যানবাহন আটকে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরাতে ঘটনাস্থলে যান ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তখন শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহারে রাজি না হয়ে জানান, দেশব্যাপী চলমান থাকা এ আন্দোলন একসঙ্গে প্রত্যাহার হবে। এরপর উপাচার্য ও প্রক্টর চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর অবরোধ ভাঙার টার্গেটে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের এক নেতা মোটরসাইকেল চালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ৩০-৪০ জনকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে চড়-থাপ্পড় দেন ববি ছাত্রলীগ নেতা আবুল খায়ের আরাফাত ও আল সামাদ শান্ত।
ঘটনাস্থলে থাকা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু উবাইদা বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার জন্য উস্কে দেন প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইয়ুম। তাদের হামলা মারধরের মুখে মহাসড়ক ছেড়ে উঠে আসতে বাধ্য হই আমরা। এরপর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম বলেন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা মহাসড়ক ছাড়তে রাজি না হওয়ায় চলে এসেছি। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সেখানে পাঠানোর অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে দেওয়া খুদেবার্তারও জবাব দেননি তারা।