কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো ভারত উত্তাল হয়ে উঠেছে। বুধবার রাতভর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গে রাতভর এমন বিক্ষোভের ঘটনা এর আগে কেউ দেখেনি।
মৌমিতা দেবনাথকে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের পর খুন করা হয়। এই ঘটনায় কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বুধবার রাতে রাজ্যের সব রাজপথের দখল নেন নারীরা। সে সময় তাদের হাতে ছিল মোমবাতি, মশাল এবং প্ল্যাকার্ড। হাজার হাজার নারীর সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গেছে পুরুষদেরও।
রাত যত বাড়তে শুরু করেছে প্রতিবাদী মানুষের ভিড়ও তত বেড়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার নয়, প্রতিবাদে-স্লোগানে মুখর হচ্ছে পুরো পশ্চিমবঙ্গ। তাদের মুখে একটাই স্লোগান ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। রাজ্যজুড়ে একটাই দাবি শাস্তি চাই, কঠিন শাস্তি।
মধ্যরাতে কলকাতা শহরের মেয়েদের ‘রাত দখলের’ কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে দিকে দিকে চলছিল মিছিল। তার মধ্যেই আচমকাই তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
একদল মানুষ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল এই ভাঙচুর চালায় বলে জানা গেছে।
সে সময় উল্টে দেওয়া হয়েছে পুলিশের গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে খবর দেওয়া হয়।সেখান থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে লাঠিচার্জ করে, টিয়ার শেল ছোড়ে। লাঠিচার্জে আহত হন বেশ কয়েকজন নারী।
পুলিশকে লক্ষ্য করে মুরিমুরকির মতো ঢিল ছুড়তে দেখা যায় উত্তেজিত জনতাকের। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সামনে রাত দখলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা নারীরা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে নষ্ট করার জন্য কিছু দুষ্কৃতি হাসপাতালের গেট ভেঙে ভাঙচুর চালায়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। কোনো কিছু করে আমাদের কেউ থামাতে পারবে না।