বৃহস্পতিবার , ২৮ জুলাই ২০২২ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

অর্থনৈতিক সংকট কাটবে পারস্পরিক সহযোগিতায়

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুলাই ২৮, ২০২২ ১:৪৫ অপরাহ্ণ

গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ অন্যরা

করোনাভাইরাসের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক সংকট তৈরি করেছে। তবে ডি-৮ভুক্ত দেশগুলো একে অন্যকে সহযোগিতা করলে এই সংকট নিরসন সম্ভব বলে জানিয়েছেন ‘ডি-৮ সিসিআই বিজনেস ফোরাম অ্যান্ড এক্সপো ২০২২’র বক্তারা। তাঁরা বলছেন, এতে করে সবাই একটি উইন উইন সিচুয়েশনে থাকতে পারবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ওয়েসিস হলে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী এ এক্সপো শুরু হয়।

বাংলাদেশ, মসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হলো ডি-৮।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার এই যুদ্ধ আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে আগামী দিনে পারস্পরিক শক্তি বাড়ানো, একই সঙ্গে ব্যবসায়ও সম্পর্ক উন্নয়নের। আগামী ১০ বছরে আরো ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক আন্ত বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ আছে আমাদের। ’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ডি-৮ভুক্ত দেশগুলোর একই মূল্যবোধ, একই ধর্ম, বিশাল কর্মক্ষম তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে। একসঙ্গে কাজ করলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাই লাভবান হতে পারবে। এ ছাড়া করোনাকালীন বাংলাদেশ সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘১৬৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ বসবাস করে বাংলাদেশে। জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। তবু বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাল, মাছসহ নানাবিধ পণ্য রপ্তানি করছি আমরা। ’ বাংলাদেশকে একটি বিনিয়োগবান্ধব দেশ উল্লেখ করে নির্দ্বিধায় বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার ভ্যালু চেইন ইনটিগ্রেশনে সক্ষম একটি কৌশলগত রোডম্যাপ গঠন এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অগ্রগতি বিস্তারে বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন আছে। প্রয়োজনে ডি-৮ভুক্ত দেশগুলোর জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন তৈরি করা হবে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লেখাবে এবং প্রবৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ - আইন-আদালত